পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক গৃহবধূকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তার দুই ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই গৃহবধূর নানা জানান, এক বছর আগে মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের এক গ্রামে তার নাতনির বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর তার বড় ভাসুর বাসায় একা পেয়ে তার নাতনিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে তার নাতনি গোপন রাখে। এর কিছুদিন পর তার মেজো ভাসুরও ওই গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। মামলার আসামিরা হলেন হাসান (২৭) ও রুবেল (২৪)। গ্রামবাসী জানায়, সোহেলের (২২) সঙ্গে বছর খানেক আগে ওই মেয়ের বিয়ে হয়। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেম করে ছোট ভাই বিয়ে করে। তার বড় দুই ভাই অবিবাহিত। ওই ভিকটিম জানান, লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এতদিন কাউকে কিছু জানাননি। কিন্তু নিপীড়নের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ওই মেয়ে তার নানাকে বিষয়টি জানান। এরপর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার সিদ্ধান্ত। মামলা হওয়ার পর ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছেন। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. জ. মো. মাসুদুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই গৃহবধূ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।
Leave a Reply